পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
লক্ষ্যঃ
১) সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি এবং সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য সঞ্চয়ের বিপরীতে ইনসেনটিভ প্রদান।
২) সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঞ্চয়ে সৃষ্ট তহবিল গড়া, সহজ শর্তে প্রয়োজনমাফিক ঋণ সহায়তা দেয়া, প্রতি বাড়িকে আয়বর্ধক উৎপাদনশীল খামারে রূপান্তর করা, উৎপাদিত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণনের মাধ্যমে সঞ্চিত আমানত নির্ভরতায় দরিদ্রদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা।
৩) কৃষির বিভিন্ন সেক্টর তথা কৃষি, মৎস্যচাষ, হাঁস-মুরগি পালন, গবাদিপ্রাণী পালন, নার্সারী ও ফল চাষ ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন । জাতীয় উন্নয়নে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনায় এনে একটি স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে গড়া পুঁজি সহায়তায় নিজ আঙ্গিনায় উৎপাদনমুখী কার্যক্রম গ্রহণ, বিপণন ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।
উদ্দেশ্যঃ
১) সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ করে তথা মাইক্রোসেভিংস কার্যক্রমের মাধ্যমে পুঁজি গঠনে সহায়তা করা।
২) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা দিয়ে প্রতিটি বাড়িকে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা এবং কৃষি সেক্টরে প্রান্তিক পর্যায়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।
৩) আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে নারীর ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করা।
৪) দলগত মানব সম্পদ তৈরি করে সমন্বিত গ্রাম উন্নয়ন নিশ্চিত করে দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা।
৫) প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মেলবন্ধনে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকান্ডে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা।
৬) দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাইক্রোসেভিংস মডেল বাস্তবায়ন করা এবং প্রতি বাড়িকে খামারে রূপান্তর করা।